Search This Blog

নখের যত্ন

আমাদের শরীরে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন: ঠোঁট, চুল ,ত্বক, দাঁত এর মতই হাত এবং পায়ের নখ ও গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সুন্দর নখ শুধু আপনার সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায় না , সাথে আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও বহন করে। সাধারণত আমরা নখের যত্নে মিনিকিওর, পেদিকিওর করে থাকি। কিন্তু সেগুলো তো বেশ ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। এত সময় আর অর্থ কই বলেন। তাই বলে কি যত্ন নিবেন না নখের?


চলুন আজ কিছু টিপস দেই বাড়িতে বসে কিভাবে হাত ও পায়ের নখ আকর্ষনীয় করে তুলবে

বাড়িতে নখের যত্ন

  • বাড়িতে যেসব উপকরণ আছে সেসব উপকরণ দিয়ে সেরে নিতে পারেন মিনিকিওর পেদিকিওর। প্রথমে আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ, সামান্য শ্যাম্পু, ও লেবুর রস দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন হাত ও পায়ের নখ। এরপর যেকোনো ব্রাশ দিয়ে নখ গুলো ঘুষে নিন। ঠাণ্ডা  পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর নেইল কাটার দিয়ে আপনার পছন্দ মত সাইজ করে নখ কেটে নিন। তবে নখ সমান করে কাটুন কারন উচু নিচু করে কাটা নখ সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এরপর যেকোনো ময়শ্চারাইজিং লোশন দিয়ে ম্যাসাস করুন ৫ মিনিট ।এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
  • এক সপ্তাহের বেশি নখে নেইল পলিস রাখবেন না।নেইল পলিস উঠাতে কোন ধারালো কিছু ব্যবহার করবেন না। সেক্ষেত্রে রিমুভার ব্যবহার করেন। অন্তত ৩-৪ দিন ব্যবধানে নখে নেইল পলিস ব্যবহার করুন।
  • নেইল পলিস ব্যবহারে সচেতন হউন।অতিরিক্ত নেইল পলিস ও রিমুভার আপনার নখ গুলো কে ড্রাই করে এবং নখের প্রাকৃতিক কালার নষ্ট করে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখে অলিভ অয়েল ও ভেসলিন লাগিয়ে ঘুমান। এতে আপনার নখ শক্ত হবে এবং নখের হলুদ ভাব দূর হবে।
  • দাঁত দিয়ে অনেকের নখ কাটার অভ্যাস থাকে। এটি অবশ্যই ত্যাগ করুন।
  • অনেক সময় সবজি কাটতে হাতে কালো দাগ হয়। সেক্ষেত্রে কাটা লেবু ঘুসুন , এমনি পরিষ্কার হবে।
  • নখ কে সুস্থ রাখতে ভেতরের পুষ্টি খুব দরকার । সেজন্য ভিটামিন বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন , আয়রন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হবে।
  • শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ রাখার জন্য পযাপ্ত ঘুম অপরিহার্য।
  • নখের যেকোনো সমস্যা যেমন, নখে দাগ, অতিরিক্ত হলুদ ভাব, খুব তাড়াতাড়ি নখ ভেঙ্গে যাওয়া, নখের কোণ  ঘা বা পচে যাওয়া প্রভৃতি দেখে দিলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেসের পুরোনো ভার্সনে ফিরে যাওয়া

অনেক সময় অনেক এপ্লিকেশন এর  পুরোনো ভার্সন গুলো ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দেয় । যেমন বেশ কিছুদিন আগে যখন প্রথম  ওয়ার্ডপ্রেসের ৩.১ ভার্সন আসলো, আমি কোনো কিছু বিচার না করেই বরাবরেব মতো সেটাকে আপডেট করলাম আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে ।  দেখি অনেক কিছুই কা্জ করছেনা । পড়লাম মহা বিপদে । ওয়ার্ডপ্রেসের পুরোনো ভার্সনটা ভালই কাজ করতো । কি করা যায় কি করা যায় ! ভাবছি …
WordPress logo
WordPress logo
পরে খুজে পেলাম কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসের পুরোনো ভার্সনে ফিরে যাওয়া যায় । তো চলুন দেখা যাক কেমনে তা করা যায় ।
আমি এটি করেছিলাম আমার cPanel এর সাহায্য নিয়ে । cPanel আসলে hosting Control panel. এ কাজ টি করার আগে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের পুরোনো যে ভার্সনে ফিরে যেতে চান তা ঠিক করুন। WordPress Archives থেকে আপনি নামিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনিয় ভার্সনটি ।  zip ফাইল ডাউনলোড করাই ভাল । এবার আপনার cPanel থেকে যে ডিরেকটরি তে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ইন্স্টল করা আছে সে টি খুলুন ।  এখানে কিছু কাজ আমাদের করতে হবে । এই ডিরেকটরিতে দেখুন wp-config.php নামে একটি php ফাইল আছে । এই ফাইলটি ডাউনলোড করে রাখুন অথবা রিনেম করে রাখুন । এরপর, wp-content নামে ফোল্ডারটি রিনেম করুন । হতে পারে তা wp-content– . হযতো মনে প্রশ্ন জাগছে কেনো এদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে । আসলে wp-config.php তে ডাটাবেজ এর সাথে কানেকশন দেয়া আছে আর wp-content  এ আপনার ইন্স্টল করা  থিম, প্লাগইনস, ইমেজ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ফাইল আছে আর আমরা সেগুলো ডিলিট করতে চাচ্ছিনা ।  ওকে , বাড়তি কাজ শেষ। এবার আপলোড করা ওয়ার্ডপ্রেস ইস্ন্টলেশন ফাইলটি আনজিপ করুন । দেখুন wordpress নামে নতুন একটি folder এসেছে । এবার এই folder টিতে ঢুকুন এবং wp-content নামের ফোল্ডার টি ডিলিট করুন। এবার Select all এ ক্লিক করে সব ফাইল সিলেক্ট করে রুট ডিরেকটরিতে (অথবা যেখানে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ইস্ন্টলেশন ফাইলগুলো আছে)   move করুন । কিছুক্ষন পরে wordpress  ফোল্ডারটি খালি হয়ে যাবে ।  এবার wp-content– (অথবা আপনি যে নাম দিয়েছিলেন) কে wp-content করুন। এবার ওয়ার্ডপ্রেস এডমিন এরিয়ায় ডুকতে যান । wp-config.php রিনেম করে থাকলে আবার তা wp-config.php তে ফিরিয়ে আনুন। সবকিছু ঠিক থাকলে ডাটাবেজ আপডেট চাইবে, আপডেট করুন। আশা করি এতেই কাজ হয়ে যাবে।

শীতে ঠোঁটের যত্ন



শীত কাল এসেছে। এই শীতের প্রভাব আমাদের শরীরে ইতোমধ্যে পড়তে ধরেছে। শীতকালে ঠোঁটের সমস্যায় পড়ে নি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। শীতে বাতাসের আদ্রর্তা কম থাকে বলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের চামড়া ওঠা, ঠোঁট কালো হওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় ঠোঁটের সঠিক যত্ন নিতে হয়। চলুন শীতে ঠোঁটের যত্ন নিবো কিভাবে তার কিছু টিপস জেনে নেই-

  • প্রথমে আমি যেটির কথা বলবো সেটা হল ঠোঁটের স্ক্রাবিং। ঠোঁটে ডেড সেল বা মৃত কোষ এর কারনে ঠোঁট অনুজ্জ্বল দেখায়। তাই ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে স্ক্রাবিং এর জন্য সম পরিমাণ লেবুর রস এবং মধু নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ঠোঁটে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।এরপর আধা চামুচ চিনি হাতের আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে আলতো ভাবে ঘষুন।
  • স্ক্রাবিং এর জন্য আপনি ঠোঁটে পুরু করে ভেসলিন লাগিয়ে চিনি দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষে ঠোঁটের মৃত কোষ তুলতে পারেন।
  • এছাড়াও টুথপেষ্ট ঠোঁটে লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষলেও ঠোঁটের মরা চামড়া ওঠে যায়।
  • ঠোঁটের স্ক্রাবিং এর পর অবশ্যই ঠোঁটের আদ্রর্তা বজায় রাখার জন্য ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার করতে হবে। সেক্ষেত্রে লিপজেল, ভেসলিন, পমেড অথবা পেট্রলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠোঁটের শুষ্কতা ঢাকার জন্য অনেকে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করে। এটা খুব বাজে অভ্যাস । এতে ঠোঁটের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যায়।
  • ঠোঁটের মরা চামড়া কোন ভাবেই টেনে উঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়বে।
  • লিপস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। শীতে ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে হবে। ভিটামিন ই যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। কম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।

কম্পিউটার ভাইরাস কি এবং কিভাবে ভাইরাস তারানো যাবে



কম্পিউটার ভাইরাস কি ?

কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের প্রোগ্রাম যা নিজে থেকেই এক কম্পিউরার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে যায় কিংবা বলা ভালো ছড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে এবং অধিকাংশ সময়ই কম্পিউটারের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায় । অনেক সময় ক্ষতি না করলেও বিরক্তিকর পরিস্থীতির কারন হয় । এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় যেকোন ধরেনের ফ্ল্যাস ড্রাইভ যেমন: পেন ড্রাইভ, ম্যামোরি কার্ড এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে । আবার পাইরেটেড বা চোরাই সফ্টওয়ার গুলোও কম্পিউটার ভাইরাস এর আখড়া ।

ভাইরাস এর পুর্ণ রুপ:

কম্পিউটার ভাইরাস এর VIRUS শব্দটি আসলে কয়েকটি ইংরেজি শব্দের প্রথম অক্ষর দিয়ে হয় যার পুর্ণ রুপ হল  Vital Information Resource Under Siege ( Software এর ক্ষেত্রে যার বাংলা দাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রিসোর্স অন্য কারো অধীনে। কম্পিউটার ভাইরাসগুলো মাঝে মাঝে পুরো কম্পিউটারের কন্ট্রল নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় ) অথবা  Virtual Information Resource Under Seize  ( Network এর ক্ষেত্রে )।

কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে কাজ করে ?

কম্পিউটারের ভাইরাসগুলো আসলে প্রোগ্রাম বা লিখিত নির্দেশনা যা বিভিন্ন কম্পিউটারে ইন্সটল হয়ে কখনও পুরো কম্পিউটারের এক্সেস নিজের অধিনে নিয়ে নেয়। আবার কখনও এটি নিরবে রয়ে যায় আপনার মেশিনে এবং অপেক্ষা করে গুরুত্বপুর্ন তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট, পাসওয়ার্ড কিংবা অনলাইলনের কোন প্রফাইলের তথ্য চুরি করার জন্য । অনেক সময় আপনার ওয়েব ব্রাউজারেও থেকে যায় কিছু ভাইরাছ, অনেক সময় বলা হয় ম্যালওয়ার ( Malware যা Malicious Software এর সংক্ষিপ্ত রুপ ), যা আপনার গুরুত্বপুর্ন ওয়েব তথ্যগুলো চুরি করে কিংবা আপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে।

কিভাবে ভাইরাস মারবো ?

মোটামুটি ধারোনা পেয়ে গেছি আমরা ভাইরাস কি এবং এটি কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে । এবার আলোচনা করা যাক কিভাবে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম । কম্পিউটারের ভাইরাস এর ক্ষেত্রেও তাই :) ভাইরাস মারার চেয়ে কম্পিউটারে ধরতে না দেয়ার ব্যবস্থা করাটাই বেশি জরুরী ।
ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য আপনার মেশিনে আগে থেকেই এন্টিভাইরাস ইন্সটল দিয়ে রাখুন। হতে পারে সেটি পেইড কিংবা ফ্রি । Paid Antivirus গুলো নিজে থেকেই অনেক ধরনের প্রতিরোধ গোড়ে তোলে ভাইরাস এর বিরুদ্ধে । তবে ফ্রি গুলো ব্যবহার করলে নিজেকেও একটু সতর্ক থাকতে হয় ।  অপরিচিত USB stick বা Memory Card PC তে লাগালে আগে Anti-virus দিয়ে Scan করে নিন । যেই সেই প্রোগ্রাম মেশিনে ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন । পাইরেটেড বা চোরাই সফ্টওয়ার ব্যবহার করা থেকে বিরক্ত থাকুন । আর অন্তত ১৫দিনের মাথায় একবার করে আপনার ভাইরাস গার্ডকে আপডেট করুন ।
আর যদি দেখেন ভাইরাস ধরেই গেছে আপনার কম্পিউটারে তাহলে তাকে তাড়াতে বেশ কিছুটা বেগ পোহাতে হবে । এক্ষেত্রে পেইড এন্টিভাইরাসগুলো অনেকটা ভরসা । কোন পেইড এন্টিভাইরাস আপনার মেশিনে ইন্সটল দিয়ে সেটি দিয়ে স্ক্যান করুন আপনার কম্পিউটার । অনেক সময় ভাইরাচ ইন্সটল থাকলে কোন এন্টিভাইরাসকেই আর ইন্সটল করতে দেয়না । সেক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা উইন্ডোজ ) দিতে হতে পারে ।